গ্রামীণফোনের কলড্রপ চরমে, বিটিআরসির শোকজ

গ্রামীণফোনের কলড্রপ চরমে, বিটিআরসির শোকজ

গ্রামীণফোনের কলড্রপঃ মাত্রাতিরিক্ত কলড্রপের কারণে গ্রামীণফোনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে বিটিআরসি।

অপারেটরটিকে সাত দিনের সময় দেয়া হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারলে জরিমানার মুখোমুখি হতে পারে তারা।

জুলাইয়ের ১ তারিখ তাদের এই কারণ দর্শানো নোটিশ বা শোকজ দেয়া হয় ।

ভয়েস কল, ডেটা ও  নেটওয়ার্কের কাভারেজ এলাকা-এই তিন মূল বিভাগে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবার মান যাচাই করা হয়। আর এটি যাচাই করতে ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিস ড্রাইভ টেস্ট’ চালায় বিটিআরসি।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ টেকশহর ডটকমকে জানান, ড্রাইভ টেস্টে গ্রামীণফোনের ভয়েস এবং ডেটা দুটিই কাঙ্খিত মানে পাওয়া যায়নি। বিটিআরসি এর কারণ জানতে চেয়েছে।

‘যেকোনো অপারেটরই সেবার কাঙ্খিত মান ঠিক না রাখতে পারলে ব্যবস্থা নেবে বিটিআরসি। গ্রাহকদের কোনো ভোগান্তি গ্রহণযোগ্য নয়’ উল্লেখ করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ‘আমরা শোকজ করেছি প্রথমে গ্রামীণফোনকে। তারপর অন্যগুলো এনাইলাইসিস চলছে। তারা যদি সঠিকভাবে কারণ ব্যাখ্যা দিতে পারে তাহলে তারা মাফ পাবে এইবারের মতো । আর যদি কারণ ব্যাখ্যা সঠিকভাবে না দিতে পারে তাহলে তো ১ কোটি হতে ৩০০ কোটি পর্যন্ত বিটিআরসি ফাইন করতে পারে।’

‘৩০ তারিখে মিটিংয়ে আমাদের যে টেস্ট ড্রাইভের প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে আমরা ব্যাখ্যা দিতে বলেছিলাম ৪টা এমএনওকে। বিটিআরসি যেটা বরাদ্দ দিয়েছে সেটা কেন ব্যবহার করছে না, তারা তো কিনেইছে টাকা দিয়ে। কারণ ওই স্পেকট্রামটা ইউটিলাইজ করতে গেলে আরও কিছু টেকনোলজি ও ফাইন্যান্স ইনভলবমেন্ট আছে। তো এটা আমরা খুঁজে বের করেছি, ধরেছি।’ উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।

কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) নীতিমালা অনুযায়ী, ভয়েস কলের ক্ষেত্রে অন্যতম ইস্যু কলড্রপের ক্ষেত্রে এটি ২ শতাংশ পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ আছে। আর কল সেটআপের জন্যে বিটিআরসি নির্ধারিত সময় বেঁধে দেয়া আছে সাত সেকেন্ড।

আর এখানে ফোরজি প্রযুক্তির ইন্টারনেটে ডাউনলোডের সর্বনিন্ম গতি  ৭ এমবিপিএস হতে হবে।

এরআগে রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সেবার মান সংক্রান্ত এক সভায় জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিটিআরসির বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন ও পরীক্ষা সাপেক্ষে প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুযায়ীও সেবার মান প্রতিশ্রুত স্ট্যান্ডার্ড মোতাবেক পাওয়া যাচ্ছে না। শুধুমাত্র কাগজ-কলম বা ডিজিটাল প্রেজেন্টেশনে সেবার তথ্য দেখে আমরা সন্তুষ্ট হতে চাই না। আমরা গ্রাহক পর্যায়ে মানসম্মত ও প্রতিশ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে চাই এবং সেবার মান সম্পর্কে গ্রাহক ও মিডিয়া থেকে পজিটিভ মন্তব্য শুনতে চাই।’