ব্লগিং থেকে টাকা উপার্জনঃ আশা করছি সকলে ভালো আছেন,আজকের পর থেকে আপনাদেরকে সম্পূর্ণভাবে জানাবো ব্লগিং করে কিভাবে টাকা উপার্জন হয় এবং ব্লগিং করে কিভাবে টাকা উপার্জন করবেন।
এছাড়াও আজকের পোষ্টে জানবেন –ব্লগিং কি, ব্লগ সাইট কিভাবে তৈরি করতে হয়, কোন কোন মাধ্যমে ব্লগিং থেকে উপার্জন করা যায়, আপনি আসলেই ব্লগিং করার জন্য পার্ফেক্ট কিনা অর্থাৎ ব্লগিং এবং ব্লগ সাইট সম্পর্কিত সকল তথ্য আজকে জানতে পারবেন।
শুরুতেই বলি এই পোস্টটি তাদের জন্য যারা ব্লগিং করে ঘরে বসে অনায়াসে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম ইন্টারনেট বা অনলাইন থেকে করতে চান।
ব্লগিং আসলে কি?
অনলাইন থেকে যারা উপার্জন করতে চায়, তারা কিন্তু কমবেশি অনেকেই জানে ব্লগিং আসলে কি?
ব্লগিং হচ্ছে অনলাইন থেকে আয় করার আরেকটি বড় প্ল্যাটফর্ম। ব্লগিং করে বাংলাদেশের অনেক চাকরিজীবী এবং ছাত্র-ছাত্রী এবং বেকার শিক্ষিত ভাই-বোনেরা প্রচুর পরিমাণে টাকা প্রতি মাসে আয় করছে এবং অনলাইনে ক্যারিয়ার সম্পূর্ণভাবে তৈরি করেছে।
ব্লগিং-এ ক্যারিয়ার গড়া খুবই সহজ। তবে আপনাকে ব্লগিং নিয়ে কাজ করার পূর্বে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
ব্লগিং থেকে টাকা উপার্জনঃ
১.ব্লগ সাইট বানাতে কি কি লাগে।
২.একটি সম্পূর্ণ ব্লগ সাইটের জন্য কি কি প্রয়োজন।
৩.একটি ব্লগ সাইট বানানোর আগে সেই ব্লগের নিস সিলেক্ট করা।
৪.এছাড়াও নিয়মিত ব্লগ সাইটে পোস্ট পাবলিস্ট করা।
অর্থাৎ ব্লগিং করে ক্যারিয়ার গড়তে হলে। তার আগে অবশ্যই আপনাকে এই সকল বিষয় কিন্তু লক্ষ্য রেখেই এই ব্লগিং এ ক্যারিয়ার গড়ার কথা চিন্তা করতে হবে।
ব্লগ কাকে বলে?
অনলাইনে লেখালেখির যে প্লাটফর্ম রয়েছে সেই প্লাটফর্ম কে ব্লগসাইট বলা হয়।
অর্থাৎ ব্লগিং ক্যারিয়ারই হচ্ছে ব্লগ সাইট তৈরি করে অনলাইনে লেখালেখি করা এবং সেখান থেকে ভালো মানের উপার্জন করা।
ব্লগ সাইট আসলে কি?
ব্লগ সাইট হচ্ছে আপনি এখন আমার যে লেখাটি পড়ছেন এটি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট অর্থাৎ এই ব্লক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিন্তু অনলাইনে যেকোন ধরনের ইনফরমেশন আপনি দিতে পারবেন এবং নিতে পারবেন।
অর্থাৎ ব্লগ সাইট হচ্ছে লেখালেখি করে অনলাইনের মাধ্যমে ইনফরমেশন দিয়ে ওখান থেকে আবার ইনকাম করা।
ব্লগিং এবং ব্লগ সাইট সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি ধৈর্য্য সহকারে পড়ুন।
ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন?
ব্লগিং বা ব্লগ সাইট তৈরি করে ব্লগিং শুরু করা খুবই সহজ সে ক্ষেত্রে 2 টি সিস্টেম রয়েছে একটি হচ্ছে ফ্রিতে আরেকটি হচ্ছে টাকা দিয়ে।
তবে আপনি যদি বিগেনার হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আমি আপনাকে সাজেশান করব আপনি ফ্রিতে ব্লগস্পটে গিয়ে আপনার সাইটটি একদম ফ্রিতে তৈরি করুন। কোন ধরনের কোনো ডোমেইন হোস্টিং কিনার শুরুর দিকে কোন দরকার নেই।
স্যার আপনি যদি শুরু থেকে একটু এডভান্স লেভেলের কাজ করতে চান বা ব্লগিং করতে চান। তাহলে আপনাকে সাজেশন করবো আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে শুরু করুন। ব্লগিং থেকে টাকা উপার্জন
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ব্লগিং শুরু করলে আপনি অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন প্লাগিন্স এর মাধ্যমে। আপনাকে কোন ধরনের কোনো কোডিং করতে হবে না, খুব সহজেই বিভিন্ন ফিচারগুলোঃ যুক্ত করতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটে।
মোট কথা হচ্ছে আপনি যে মাধ্যম থেকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন না কেন আপনাকে অবশ্যই একটি ভালো মানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে যে ওয়েবসাইটে আপনি লেখালেখি করবেন।
ব্লগিং থেকে কিভাবে টাকা উপার্জন হয়?
একটি ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে কিন্তু উপার্জন করার অনেক ধরনের মাধ্যম আছে। জনপ্রিয় যে কয়টি মাধ্যম আমি নিচে আলোচনা করছি
বিজ্ঞাপন-ব্লগ ও ওয়েবসাইট থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবচাইতে বেশি ইনকাম আসে।ধরুন আপনি একটি ব্লগ সাইট তৈরি করেছেন। সেই ব্লগসাইটটি মনিটাইজেশন অর্থাৎ গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে তাদের পলিসি গুলো অনুসরণ করেছে। এর পরে আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করলে আপনার ওয়েবসাইট কিন্তু মনিটাইজেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে মনিটাইজেশন অন হলেই সেখানে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন স্পন্সার অ্যাপগুলি শো করা শুরু করবে।
সেই আর স্পন্সর কোম্পানিগুলো শুরুতে কিন্তু গুগলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে এবং অ্যাড দেখান আর বিনিময় অর্থাৎ বিজ্ঞাপন দেখার বিনিময় আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে সেই কমিশনের একটি অংশ আপনি পেয়ে যাবেন। ব্লগিং থেকে টাকা উপার্জন
এছাড়াও এ বিজ্ঞাপন থেকে কিভাবে ইনকাম হয় এটি আপনি আরও সহজভাবে বুঝতে হলে, আপনি যে এই পোস্টটি পড়েছেন এই পোস্টের মধ্যে দেখুন গুগল থেকে কিছু বিজ্ঞাপন অর্থাৎ এড শো করছে এই এড এর বিনিময় কিন্তু আমি আমার ওয়েবসাইট থেকে আর্নিং পাচ্ছি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-আপনি ব্লগিং এ ক্যারিয়ার গড়ার পর আপনার ব্লগ সাইট থেকে কিন্তু আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও প্রচুর পরিমাণে ইনকাম প্রতিমাসে করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কমিশন পেশা। অর্থাৎ আপনি কারো প্রোডাক্ট নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেল করে দিলে তার একটি কমিশন কিন্তু আপনি পেয়ে যাবেন। বিস্তারিত জানতে এই লিংকটি ভিজিট করুন।
প্রোডাক্ট সেল –আপনি কিন্তু একটি ব্লগ সাইটে ফ্রিতে অর্থাৎ আপনার ই-কমার্স ব্লগ সাইট তৈরি করে আপনি কিন্তু খুব সহজেই সেখানে বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট সেল করে সরাসরি আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
Google Web Stories– তৈরি করে গুগল থেকে কিন্তু বাড়তি ইনকাম আপনি করতে পারবেন। এটি তৈরি করে আপনি বিভিন্ন ধরনের টপিক সম্পর্কে ক্যাম্পেইন চালিয়ে আপনি বাড়তি মানে কিন্তু এই ব্লগ সাইট থেকে করতে পারবেন।
অর্থাৎ আপনি চাইলে ব্লগ সাইট সুন্দরভাবে তৈরি করে আপনি খুব সহজেই উপরের এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে ভালো মানের ইনকাম কিন্তু আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারবে।
ব্লগিং সম্পর্কিত কিছু কমন প্রশ্ন উত্তর
ব্লগিং এর পেমেন্ট কিভাবে পাওয়া যায়?
ব্লগিংয়ের উপার্জন বা পেমেন্ট আপনি আপনার ব্যাংকেও নিতে পারবেন এছাড়াও আপনি যেকোন ধরনের ডলার কার্ডেও আপনি নিতে পারবেন।
মাসের কত তারিখে পেমেন্ট দিয়ে থাকে?
প্রতি মাসের 21 তারিখে আপনার ব্যাংক একাউন্টে তারা পেমেন্ট সেন্ড করে এবং ব্যাংক আপনাকে এক থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্টে দিয়ে দিবে।
ব্লগিং থেকে উপার্জন করার জন্য কি ইনভেস্টমেন্ট লাগে?
এক কথায় উত্তর ব্লগিং করতে কোন টাকা লাগে না। তবে আপনি ভাল ইনভেসমেন্ট করলে আপনি অ্যাডভান্স লেভেলের ব্লগিং করতে পারবেন।
ব্লগিং থেকে উপার্জন টাকা কি হালাল না হারাম?
সব ধরনের উপার্জনই এখানে করা যায়। আপনি যদি সৎ পথে ইসলামিক চিন্তা চেতনা বা কারো সঙ্গে জ্ঞান শেয়ারিং চিন্তা-চেতনা করে ব্লগিং করেন তাহলে অবশ্যই এটি হালাল হবে।
শেষ কথা আমি ব্লগিং সম্পর্কে আপনাদেরকে শুধু সাধারণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি আশা করছি যারা ব্লগিং নিয়ে কাজ শুরু করবেন বা ব্লগিং এ ক্যারিয়ার গড়বেন তারা অবশ্যই এই সকল বিষয় মাথায় রেখে ব্লগিং করা শুরু করুন।