মধ্যপ্রাচ্ছে অবস্থিত ওমান একটি স্বাধীন দেশ। আরব উপদ্বীপে অবস্থিত এই দেশের সরকারি নাম ওমান সালতানাত। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন বিষয় অনেক লোকজন ওমানে পাড়ি জমিয়ে থাকে। এর মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ভ্রমণ ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা অন্যতম। বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর এদেশ থেকে ওমানে অনেক জনশক্তি নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি যদি সম্প্রতি ওমানে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করে থাকেন তাহলে যাওয়ার আগে ওমান সম্পর্কে তথ্যগুলো জেনে নেওয়া জরুরী।
অনেকেই ইন্টারনেটে ওমান যেতে কত টাকা লাগে তা খুঁজে থাকে। কারণ বর্তমানে ওমান ভিসার দাম কেমন তা অনেকেই জানে না। আজকের এই পোস্টে আমি আপনার সাথে ওমানের বিভিন্ন ধরনের ভিসার দাম কেমন বা আপনি কোন ভিসায় ওমানে যেতে চাইলে কত টাকা খরচ হবে তার একটি ধারণা প্রদান করার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন আজকের এই পোস্ট থেকে বিভিন্ন ধরনের ওমান ভিসার দাম কত তা জেনে নেই।
ওমান যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪
সবার মনে কমন একটি প্রশ্ন ওমান যেতে কত টাকা লাগে? আসলে এটি নির্দিষ্ট করে বলা কখনোই সম্ভব নয়। এর কারণ হচ্ছে ওমানে আপনি কি উদ্দেশ্যে যেতে যাচ্ছেন এর উপর নির্ভর করে কত টাকা লাগতে পারে তা নির্ধারিত হয়ে থাকে। আপনি যদি ওমানে কাজের উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে চান তাহলে তুলনামূলক খরচ বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনি চাইলে ফ্যামিলি ভিসা, টুরিস্ট ভিসা বা পড়ালেখার উদ্দেশ্যে স্টুডেন্ট ভিসাতেও ওমানে যেতে পারেন।
আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে ওমান যেতে ইচ্ছুক সেখানে গিয়ে আপনার উদ্দেশ্যের ধরন অনুযায়ী কত টাকা খরচ হবে তা জেনে নিতে পারবেন। তবে কাজের উদ্দেশ্যে ওমানে যেতে চাইলে অর্থাৎ ওমানের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার বর্তমান খরচ ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা। আপনি যদি ভ্রমণ ভিসা নিয়ে ওমানে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ভিসার পিছনে খরচ করা লাগতে পারে। অন্যদিকে স্টুডেন্টদের জন্য ওমান সরকার বিশেষ সুবিধা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে স্টুডেন্ট ভিসায় ওমান যেতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে।
ওমান ভিসার দাম কত ২০২৪
দিন দিন ওমানের ভিসার চাহিদা বেড়ে চলেছে। যার কারণে ওমান যেতে এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি টাকা লাগে। কারণ এজেন্সি গুলো সুযোগ বুঝে ভিসার দাম বেশি নিয়ে থাকে। অনেকে ইন্টারনেটে বর্তমানে ওমান ভিসার দাম ২০২৪ কত তা জানতে চায়। কাজের ধরনের অনুযায়ী ওমান ভিসার দাম কম বেশি হয়ে থাকে। বর্তমানে ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রতিটি ওমান ভিসার দাম ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে আপনার ভিসার দাম তখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাবে যখন আপনি নির্ধারিত কি ধরনের কাজে ওমান যেতে চাচ্ছেন।
বর্তমানে ওমানে বেশ কয়েক ধরনের ভিসা চালু রয়েছে। বাংলাদেশ হতে যে সকল লোকজন ওমানে যেতে চায় তারা বেশিরভাগ ওমানের কাজের ভিসার খোঁজ করে থাকে। সুতরাং ওমানে যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে কত টাকা খরচ হবে বা ওমান ভিসার দাম কত তা জেনে নেওয়া আবশ্য। ওমানে কাজের ভিসার পাশাপাশি আপনি ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যেও যেতে পারেন অথবা আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়েও ওমানে পড়ালেখা করতে পারেন।
বাংলাদেশ থেকে ওমান যেতে বিমান ভাড়া কত
কাজের উদ্দেশ্যে প্রতিবছর বাংলাদেশ হতে অনেক বেকার লোকজন ওমানে পাড়ি জমিয়ে থাকে। কারণ বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সংকট থাকার কারণে প্রতিবছর অনেক লোক এ দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যায়। বাংলাদেশ থেকে ওমানে যাওয়ার জন্য সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে আকাশ পথ। আপনি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে খুব সহজেই বাংলাদেশ থেকে ওমানে যেতে পারবেন। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে বিমানের টিকিট ক্রয় করতে হবে।
টিকিট ক্রয় করতে হলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে বিমান ভাড়া কত টাকা তা জানতে হবে। সাধারণত অন্যান্য যানবাহনের খরচের তুলনায় বিমানের টিকিটের দাম কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। আপনার ভিসার উপর নির্ভর করে ওমান যেতে কত টাকা লাগবে তা নির্ভর করে।
সর্বশেষ কথা
যে কোন দেশের ভিসা কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ দেশের কিছু অসাধু এজেন্সি আপনাকে এক ধরনের ভিসা দেওয়ার কথা বলে অন্য ধরনের ভিসা দিয়ে দিতে পারে। আজকের এই পোস্টে আমি আপনার সাথে ওমান যেতে কত টাকা লাগে বা ওমান ভিসার দাম কত তা জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি ইতিমধ্যে আপনি আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী ওমান যেতে কত টাকা লাগতে পারে বা ভিসার দাম কত টাকা তা জানতে পেরেছে। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।